ফুলের ঘ্রাণের মূল্য - আলী হোসেন সাদ্দাম (নাসির গাজীর ঝুলি)


ফুলের ঘ্রাণের মূল্য আলী হোসেন সাদ্দাম, দিনাজপুর ( নং১১৮৩৪) রাস্তা দিয়ে এক ফুল বিক্রেতা যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে দরাজ কণ্ঠে বলছেন, ফুল লাগবে ভাই,
ফু ...ল,  ফু...ল আছে ফুল...।
 এক ভদ্রলেক ফুল বিক্রেতাকে থামালেন। বললেন, দেখি ভাই একটা ফুল। ফুল হাতে নিয়ে ভদ্রলোক ফুলের ঘ্রাণ নিলেন। তারপর জানতে চাইলেন, ফুলের দাম কত? ফুল বিক্রেতা বললেন, চল্লিশ টাকা। 
ভদ্রলোক ফুল ফেরত দিলেন। এত টাকা দিয়ে ফুল কেনার সামর্থ তার নেই। কিন্তু ফুল বিক্রেতা ছাড়বার পাত্র নন। তিনি বললেন, ফুলের ঘ্রাণ যেহেতু নিয়েছেন, সুতরাং ফুল নিতে হবে। ভদ্রলোক বললেন, না ভাই, এত টাকা দিয়ে ফুল কেনার সামর্থ আমার নেই। ফুল বিক্রেতা রেগে বললেন, তাহলে ফুলের ঘ্রাণ নিলেন কেন? ফুলের ঘ্রাণ নেয়ার জন্য আপনাকে অর্ধেক টাকা দিতে হবে। ভদ্রলোক পড়লেন মহাবিপদে। 
তিনি ফুল বিক্রেতার সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করলেন। কিন্তু কিছুতেই তিনি পেরে উঠতে পারছিলেন না। সে সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন নাসির গাজী। ভদ্রলোক নাসির গাজীকে থামালেন। বিষয়টি তার কাছে পেশ করে সুরাহার জন্য আরজি জানালেন। সব শুনে কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন হলেন নাসির গাজী। তারপর বললেন, ফুল বিক্রেতার যুক্তি ঠিক আছে। এ কথা শুনে ফুল বিক্রেতা মুচকি হাসলেন এবং টাকা পাওয়ার আনন্দে আত্মহারা হলেন। তখন নাসির গাজী ভদ্রলোকটির কাছ থেকে চল্লিশ টাকা নিলেন। 
এরপর ফুল বিক্রেতার নাকের কাছে টাকাটা ধরে বললেন, আপনিও টাকার ঘ্রাণ গ্রহণ করুন। এ কথা শুনে ফুল বিক্রেতা বিমূঢ় হয়ে নাসির গাজীর দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে বললেন, টাকা দিবেন না? নাসির গাজী বললেন, ফুলের ঘ্রাণের বিনিময়ে টাকার ঘ্রাণই আপনি প্রাপ্য। তখন ফুল বিক্রেতা নিজের ভুল বুঝতে পেরে নাসির গাজীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। আর ভদ্রলোক নাসির গাজীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
Maruf Ahmed (মারুফ আহমেদ)

আমি একজন ব্লগার এবং স্টুডেন্ট। লেখালেখি এবং টেকনোলজির প্রতি অসামান্য আগ্রহ থেকেই আমার হাত ধরে bologar.com এর সূচনা। নতুন কিছু জানতে এবং জানাতে পারলে আমি আনন্দ পাই। যেকোন বয়সের পাঠক এখানে সাদরে আমন্ত্রিত।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post