নাসির গাজীর ঝুলি
__যেমন কুকুর তেমন মুগুর
লিখেছেনঃ হুসাইন আহমাদ সিদ্দিকী
এক নাস্তিক বিমানে চড়লো। এদিক-ওদিক তাকালো।দেখলো, তার পাশের সিটে বসে এক আজানুলম্বিত জুব্বা ও সাদা পাগড়ী পরিহিত হুজুর মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছেন।
নাস্তিক মনে মনে খুশী হলো। কারণ, এই হুজুরের সঙ্গে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে তর্ক করে জার্নির সময়টুকু আনন্দে কাটাতে পারবে। যুক্তির মারপ্যাচ দিয়ে আস্তিকদের লা-জওয়াব করে দিতে তার ভালোই লাগে। নাস্তিক গলা খাকারি দিয়ে বললো- “আপনি কি ভ্রমণের সময়টুকু গল্প করে কাটাতে চান? এতে সময় দ্রুত কেটে যাবে।”
হুজুর সন্দেহের চোখে তাকিয়ে বললেন, “আপনি কোন বিষয়ে গল্প করতে চান?”
নাস্তিক মুখের উপর এমন প্রশ্ন শুনে একটু ভড়কে গিয়ে বললাে- “ না, মানে,..... এই ধরেন..... সৃষ্টিকর্তা বলে কারাে অস্তিত্ব নেই, বেহেশত নেই, দোযখ নেই, মৃত্যুর পরে কোন জীবন নেই-এসব বিষয়ে আর কি!” হুজুর বললেন, “ভাল কথা । আপনার গল্পের বিষয়বস্তু খুবই ইন্টারেস্টিং। কিন্তু তার আগে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।”
“কী প্রশ্ন?” নাস্তিক স্বাগ্রহে জানতে চাইলো।
হুজুর বললেন- “ছাগল, গরু, ঘোড়া এরা সবাই ঘাস খায়। কিন্তু ছাগলের মল ছোট ছোট গুটি টাইপের, গরুর একথালি কাদার মতো, আবার ঘোড়ার মল বেশ শক্ত ও লম্বাটে। একই খাবার খাওয়ার পরও এদের মলের ধরন ভিন্ন কেন বলুনতো?”
নাস্তিক হুজুরের এমন অনাকাংখিত প্রশ্ন শুনে হকচকিয়ে বললো, “আমার এ বিষয়ে তেমন কোন ধারণা নেই।”
হুজুর বললেন, “এত নিকৃষ্ট একটা বিষয়ের হাকীকত আপনি জানেন না, এরপরও কি আপনি নিজেকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের বিষয়ে আলোচনার জন্য যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন মনে করেন?”
হুজুরের এমন তাকলাগানো কথা শুনে নাস্তিক শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। কোন জবাব দিতে পারলো না।
সবুজ বন্ধুরা! এই হুজুরের পরিচয় তোমরা কি জানে? তিনি আর কেউ নন, আমাদের সুপরিচিত জনাব নাসির গাজী।